Posts

Showing posts from July, 2024

ইন দা মিডল অফ "Nowhere" || আরাফাত জুয়েল

Image
   ফিল্মের দুনিয়াতে বাজেট একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাজেট বেশি হলে ফিল্ম ভালো হবে এটা সবক্ষেত্রে সত্যি না হলেও অনেক ক্ষেত্রে সত্যি। বাজেটের কারণে অনেক ফিল্মমেকারকেই বরণ করে নিতে হয় তাদের সৃষ্টির করুণ পরিণতি। মোকাবেলা করতে হয় অনেক চ্যালেঞ্জের। তবে এসবের মাঝেও, সুন্দর সাধারণ গল্প এবং অসাধারণ অভিনয় দিয়ে লো বাজেটেও বাজিমাত করে অনেক ফিল্ম। Nowhere এমনই একটা পিস অফ ওয়ার্ক।   কোনো এক ডিস্টোপিয়ান রাষ্ট্রের বেহাল দশা। যদিও ফিল্মে ডিটেইলস দিতে অতো আগ্রহ দেখা যায়নি, তথাপি আন্দাজ করা যায় যে রিসোর্সের দারুণ অভাবের জন্যে তারা বেছে নেয় নৃশংস এক প্রক্রিয়া। গর্ভবতী নারী এবং বাচ্চাদের মেরে ফেলে জনসংখ্যা নির্মূলের এক ভয়ানক দৃশ্যপট ফুটে উঠে মুভিটিতে। সেই ডিস্টোপিয়া থেকে নিজেদের এবং অনাগত সন্তানকে বাঁচানোর তাগিদে নিকো (তামার নোভাস) এবং মিয়া (এনা কাস্টিলো) নিজেদের সর্বস্বের বিনিময়ে স্মাগলারদের শরণাপন্ন হয়ে পাড়ি জমাতে চায় আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে। এই ধরণের ঘটনা আমাদের কাছে নতুন নয়। আমাদের দেশের অনেক মানুষই ফ্রড আদম ব্যবসায়ীদের হাতে ভিটে মাটি বেঁচা অর্থ দিয়ে বেআইনীভাবে যেতে চায় অন্য ভূমিতে। কিন্তু ...

শুভ জন্মদিন, জাফর পানাহি ।। সাঈদ খান সাগর

Image
  জাফর পানাহির আজ জন্মদিন। ইচ্ছে ছিলো ঘটা করে একটা বড়সড় লেখা লিখব পানাহির জন্মদিনে। তার সিনেমার সাথে তার জীবনের মিশে যাওয়া নিয়ে। পানাহি তো সেই নম্র-স্বল্প শব্দের বায়োস্কোপওয়ালা যার গোটা জীবনটাই একটা সিনেমা। সেই সিনেমায় কেবল Nine Inch Nails এর ''Hurt'' গানের সেই What have I become? / My sweetest friend / Everyone I know goes away / In the end লিরিক্সের মত এক মধুর একাকীত্ব ফিরে ফিরে আসে। পানাহি ''অফসাইড'' বানিয়েছেন। তেহরানে বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং ম্যাচ স্টেডিয়ামে দেখার জন্য ব্যাকুল একটা মেয়ের স্ট্রাগলের গল্প। ইরান ম্যাচটা জিতে যায়। মেয়েটা দেখতে পারে না খেলা। গোল হয়। সে অবরুদ্ধ অবস্থায় দেয়ালের বাইরে থেকে গোলের উল্লাসের শব্দে চমকে উঠে। পানাহি দেখান মেয়েটার মতোই তার জীবন। চারিদিকের সাজ সাজ রবের ভেতরেও একাকীত্বে ঘেরা। পানাহি একা হয়েও ইস্পাত-দৃঢ়। বারবার কারাবরণ, আইনী মারপ্যাঁচ, মামলা লড়ে যাওয়া, ২০ বছরের সিনেমার নিষেধাজ্ঞা কোনোকিছুই পানাহিকে টলাতে পারে না। পানাহি গৃহবন্দী৷ সিনেমা করা নিষেধ। তাই পানাহি নিজের ঘরেই ক্যামেরা তাক করে গল্প বলে যেতে থাকেন। যে সিনেমা কর...

The Curious Case of Benjamin Button ।। আরাফাত জুয়েল

Image
   প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষদিককার কথা। একজন ঘড়ি তৈরীকারক তার স্ত্রীর সাথে বসে পত্রিকা পড়ছিলেন। ঠিক তখন তার জীবন গল্পের শেষ মূহুর্তের শুরু। খবর আসে যে তার ছেলে যুদ্ধে মারা গেছে। কষ্টে বিহ্বল হয়ে তিনি তার জীবনের শেষ এবং শ্রেষ্ঠ জিনিসটি বানান। একটা বিশাল সুন্দর এবং অদ্ভুত ঘড়ি , যা তার শুরুর সময় থেকে ক্লকওয়াইজ না ঘুরে এন্টিক্লকওয়াইজ ঘুরা শুরু করে। এমন ঘড়ির বানানোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে সেই ক্রাফটসম্যান বলেন , তিনি সময়কে পিছনের দিকে নিয়ে যাবার আশায় , সুখী সুন্দর দিনগুলো ফিরে পাবার আশায় যেখানে কোনো যুদ্ধ ছিল না , যখন তার সন্তানের মতো বহু সন্তান তাদের বাবা মায়ের কাছে ছিল , এমন দিনগুলো ফিরে পাবার আশায় তিনি এই ঘড়িটি বানিয়েছেন। নিউ অর্লিন্সের ট্রেন স্টেশনে সেদিন ঘড়িটা যখন চলা শুরু করলো , ঠিক সে সময়ে জন্ম নিল এক অদ্ভুত শিশু , যে জন্ম নেয় এক অশীতিপর বৃদ্ধ শরীর নিয়ে , এবং পাশাপাশি জন্ম হয় একটি প্রশ্নের , যদি কেউ সময়ের বিপরীতে বৃদ্ধ থেকে যুবকে তারপর শৈশবে , এই সময়রেখায় বাঁচতো , তবে কি জীবনের অনিবার্য ক্ষতি বা হারানোর ব্যাথাগুলো মুছে যেত ? ডেভিড ফিঞ্চার ২০০৮ সালে এভাবেই শুরু করেন The Curious Cas...