Posts

Showing posts from June, 2021

দাস কেবিন থেকে আমি অংকন বলছি || Ankon Dey Animesh

Image
  কেউ যদি আমাকে দাস কেবিন সম্পর্কে একটা শব্দ বলতে বলে আমি বলব “অসাধারণ”, আর কেউ যদি আমাকে দাস কেবিন সম্পর্কে আমার যা বলার তা বলতে বলে তাহলে তাকে হয়ত আমি বলব পুরো একটা বিকেল ফ্রি রেখে একদিন দেখা করতে আসতে, আলাপ দেওয়ার জন্য। Written and Edited By:  ANKON DEY ANIMESH দাস কেবিন আমার কাছে সম্পর্ক, সময়, মানব-মন, আপেক্ষিক মূল্য এবং চাহিদার গল্প তুলে ধরা নাটক/ফিল্ম। মেঘের কাছাকাছি যদি আপনার বাসার বারান্দা হয়, তাহলে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ভাইয়ার অন্যান্য কাজের মত এই কাজও আপনার আইডেন্টিটি এবং জীবনবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। কর্পোরেট সিঁড়ি ধরে উঠতে থাকার বাসনায় থাকলে নিচের দিকে একটা টান অবশ্যই অনুভূত করাতে পারে। দাস কেবিনকে আমি ৫ বছর পরেও মনে রাখব এর সংলাপ, ক্যারেক্টার পারফরম্যান্স, ক্যামেরা ফ্রেমিং এবং গল্প-উদ্দেশ্য এর জন্য। দাস কেবিন এর সবথেকে শক্তিশালী অংশ হল তার সংলাপ। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল এর অন্যান্য কাজের মত এই কাজেও তিনি তার সঞ্চিত জ্ঞানকে ছবির সংলাপের মাধ্যমে তার দর্শকমহলে পৌছে দেন। ছবিতে আপনি Harvard Business Review এর কর্পোরেট বা এন্ট্রেপ্রেনারিয়াল মডার্ন এডভাইস এবং এনালাইসিস যেমন পাবে...

আমি যেভাবে 'লাইভ ফ্রম ঢাকা'রে দেখি || Saeed Khan Shagor || Ankon Dey Animesh

Image
''তুমি আমাকে ফেলে কোথাও যেতে পারবে না সাজ্জাদ'', রেহেনার এই উক্তি যেন নিষ্পেষিত শহর ঢাকারই উল্লাস ধ্বনি। 'লাইভ ফ্রম ঢাকা' মুভিতে ঢাকা সাজ্জাদকে অনিশ্চয়তার গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত করে ফেলার পরে আঙ্গুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছিল পালানোর সুযোগ নেই। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ এর কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং  পরিচালনায় এই মুভিটি প্রিমিয়ার হয় ২০১৯ সালে। ঢাকা এবং ঢাকাকে ঘিরে জীবনচক্রের এক ঘোরে মানুষের আটকে যাওয়ার গল্প নিয়ে 'লাইভ ফ্রম ঢাকা'। ফ্লাইওভারে ঘেরা এই শহর যেমন মানুষের চোখ মেলে আকাশ দেখার সম্ভাবনাকে সংকুচিত করে দিয়েছে তেমনই আর্থসামাজিক পরাবাস্তবতায় ক্রমশ নীচে নেমে আসছে মাথার ছাদ। সেই ক্রমশ ছোট গন্ডিতে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া জীবন আর জীবনের সাথে যুদ্ধের খেলায় খেই হারিয়ে ফেলে স্বার্থপর হয়ে উঠা চরিত্র সাজ্জাদ। ঢাকা শহরে মফস্বল থেকে আসা অধিকাংশ মানুষই টাকা উপার্জনের স্বপ্ন নিয়ে হাজির হয়। তারপর ঢাকার টাকার ওড়া ফাঁদ এ পড়ে মানুষ আরো বড় হতে চায়। অনেকেই পারে না। আটকে যায়। হেরে বসে। আটকে যাওয়াদের সবটুকু কেড়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয় যারা হারে না তারা। সাজ্জাদ সব হারাতে শুরু করে। লোনের...

দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন || Debashmita Saha || Ankon Dey Animesh

Image
রহস্য,এডভেঞ্চার আর ক্রিপ্টোলজি - এই সংক্রান্ত সিনেমা দর্শককে কেবল বিনোদনই দেয় না ; চিরাচরিত একঘেয়ে জীবনে ভাবনার ধরনেও যেন কিছুটা নতুনত্ব নিয়ে আসে। সেই রহস্যের সিনেমার গল্প নির্মাণ যদি হয় দুর্গাপূজার সত্যিকারের আবহকে পেছনে রেখে - তবে তা আর কাউকে না হোক; বাঙালিকে খুব টানে। রহস্যের সাথে বাঙালিয়ানার এই মেলবন্ধন পাওয়া যায় ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’ সিনেমায়। ফেলুদা,ব্যোমকেশের পর আবীর চট্টোপাধ্যায় এই ছবিতে সুবর্ণ সেন ওরফে সোনাদার চরিত্রে। ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে আবীরকে মানিয়েছে দারুণ!  রহস্য সিনেমা বিভিন্ন আঙ্গিকেই নির্মাণ করা যেতে পারে, কিন্তু ইতিহাসকে পেছনে রেখে রহস্য বুননের দিকটা বেশ আকর্ষণীয়। সোনাদার এক ছাত্রের পৈতৃক  বাড়ির ঐতিহ্যবাহী পুজো দেখতে যায় সোনাদা। পুরনো জমিদারবাড়ির পুজোর আমেজের সাথে গুপ্তধনের প্রসঙ্গ নিয়ে আসে রহস্য। দুশো বছর আগের রত্নভাণ্ডার নিয়ে প্রচলিত কথন, সাথে রত্নভাণ্ডারের অস্তিত্ব নিয়ে ধোঁয়াশা, পারিবারিক বচসা -  ধীরে ধীরে শুরু করে ঘটনার গাঁথুনি। সাথে পুজোর আমেজ। সোনাদার অভিযানের সঙ্গী আবির ও ঝিনুক। আবির ও ঝিনুক প্রেমিক-প্রেমিকা। রহস্যের টানটান উত্তেজনার সময়টায় ওদে...

চলচ্চিত্র আমাদেরকে প্রভাবিত করে? Arafat Jewel, Ankon Dey Animesh

Image
সিনেমা। সিনেমা একাধারে আমাদের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে তুলে ধরে। সিনেমা মূলত গল্পকথন যার অডিওভিজুয়াল রূপ আছে। সিনেমার ইতিহাসের সূচনার সময় আমরা সঠিকভাবে না জানতে পারলেও ১৮৯৫ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় বাণিজ্যিকভাবে প্রথম আমাদের সিনেমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।  যদিও প্রথম দিকে সিনেমার ভিজুয়াল ফর্মটাই মূখ্য ছিল এবং প্রায় সময়ই অডিও থাকতো উহ্য, তথাপি কালের বিবর্তনে সিনেমা মেকিং-এ এসেছে অনেক পরিবর্তন, সাদা – কালো থেকে সেপিয়া, প্যানিং শট থেকে স্পেশাল ইফেক্ট, সবই সময়ে সময়ে আবর্তিত হয় এবং উন্নত হয়। সূচনার পর থেকে এই ইন্ডাস্ট্রি অনেক সেটব্যাক্সের মুখোমুখি হলেও জনপ্রিয়তার দিকে দিয়ে এটিকে কখনও ফিরে তাকাতে হয়নি, সিনেমা এখনও আমাদের মাঝে অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং এটি নিম্নমুখী হবার সম্ভাবনা খুবই কম।  আমাদের দেশেরই একটি গবেষণায় জানা যায়, অংশগ্রহণকারী এবং উত্তরদাতাদের ৩৪.১৬ % তাদের অবসর সময় কাটান সিনেমা দেখে, ২৬.৬৬% বই পড়ে, ১৬.৬৬% গান শুনে এবং ২২.৫% অন্যান্য কাজ করে। এই পরিসংখ্যান থেকে আপাতদৃষ্টিতে দেখা যায় যে আমাদের দেশের মানুষ ( বিশেষত শিক্ষার্থী) মুভি দেখে সময় ক...